IQNA

এবার কানাডার ট্রুডোর ফিৎনা- ফ্যাসাদ সৃষ্টির পাঁয়তারা

15:35 - April 24, 2022
সংবাদ: 3471753
তেহরান (ইকনা): সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টার বিষয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, দেশ দুইটির এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় সমর্থন দেবে কানাডা।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টার বিষয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, দেশ দুইটির এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় সমর্থন দেবে কানাডা।

এবার কানাডার ট্রুডোর ফিৎনা- ফ্যাসাদ সৃষ্টির পাঁয়তারা:

ইউক্রেনকে যেমন ন্যাটোর সদস্য করার টোপ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ কবলিত করেছে ঠিক তেমনি এবার কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের ধুয়ো তুলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে - এ দুই দেশ ন্যাটো জোট ও রাশিয়ার মধ্যে এক রকম বাফার জোন হিসেবে এতকাল বিরাজ করছে এমনকি সেই কোল্ড ওয়ারের যুগ থেকে ন্যাটো এবং  শক্তিধর পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ওয়ার্শো জোটের মধ্যে বাফার জোন হিসেবে বিদ্যমান ছিল এবং তখন  সোভিয়েত ও ওয়ার্শো জোট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পর এতকাল পর্যন্ত রাশিয়ার আক্রমন ও আগ্রাসন থেকে নিরাপদ রয়েছে  - শুধোশুধি ন্যাটোর খোয়ারে ঢুকিয়ে উত্তর পশ্চিম ইউরোপ সীমান্তে ইউক্রেনের ধাঁচে নতুন আরেক সমস্যা ও সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে !! এখন নতুন ফিৎনা সৃষ্টির অগ্রদূত হয়ে ময়দানে নাযিল ও আবির্ভুত হয়েছে কানাডা । ইউক্রেনের মতো সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য

হওয়া থেকে বরাবর সাবধান করে আসছে রাশিয়া । আর এতদিন এ দুই দেশ ন্যাটোর সদস্য না হওয়ায় রাশিয়ার সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের হাত থেকে নিরাপদ ছিল । এ দুই দেশ ন্যাটোয় যোগ দিলে তা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে বলেই রাশিয়া এ ব্যাপারে এ দুই দেশকে সাবধান ও সতর্ক করে আসছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ( এবং বাকি অ্যাংলোফোনীয় দেশগুলো : ব্রিটেন , অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ) চাচ্ছে যে ইউক্রেন - রাশিয়ার যুদ্ধ ও সংকটের মতো আরেকটা যুদ্ধ ও সংকট সুইডেন , ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার মধ্যে তৈরি হোক । এতে প্রথমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ব্যবসা  রমরমা ও জমজমাট হবে এবং পুরো ইউরোপকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে পদানত রাখাও সম্ভব হবে । ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুর্বল এবং ন্যাটো বহির্ভূত অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে একক ইউরোপীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা - প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্ল্যানও মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে । রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপের সবকিছুই মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই অ্যাংলোফোনীয় চক্রের করায়ত্তে চলে আসবে।

এ প্ল্যান  ইউরোপে সাফল্যের সাথে বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা তখন এই অ্যাংলোফোনীয় জোটের জন্য সহজ হবে । আর রাশিয়াকেও চতুর্দিক থেকে যুদ্ধ ও  গোলযোগে ব্যস্ত রাখতে পারলে এ দেশটি ( রাশিয়া ) দুর্বল হয়ে পড়বে এবং এই অ্যাংলোফোনীয় জোটের নানামুখী সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করা তখন সম্ভব হবে । বিশ্ব জুড়ে

নিত্য নতুন সংকট সৃষ্টিতে কেবল উক্ত অ্যাংলোফোনীয় দেশগুলোর স্বার্থ নিহিত রয়েছে ।

অতএব সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলোর উচিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন অ্যাংলোফোনীয় চক্র ও ন্যাটোর ফেরেবে না পড়া ও প্রতারিত না হওয়া । রাশিয়ার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে ইউরোপীয় দেশগুলোকে বলির পাঠা করার পাঁয়তারা করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অ্যাংলোফোনীয় দুষ্টু চক্র ।

ইউরোপ কি তা বুঝতে পারবে ?

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২৩ - ৪ - ২০২২

captcha