আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বাহু হচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেসকল রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের জন্য ৩ লাখ ইউরো অনুদান করবে।
বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারের চরমপন্থি বৌদ্ধ এবং সেনাবাহিনীদের অত্যাচার ও সহিংসতার হাত থেকে বাচার জন্য ৩০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এখনও সহস্রাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন হয়েছে সেটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের চরমপন্থি বৌদ্ধ এবং সামরিক বাহিনী সেদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং মুসলমানদের গ্রামে আগুন জ্বালানো সহ অনেক অত্যাচার করেছে। তাদের অত্যাচারের ফলে অনেক রোহিঙ্গা মুসলমান নিজেদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
যদিও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের শরণার্থী হিসেবে মনে করে না এবং রাজনৈতিক কারণে তাদেরকে দেশের ভিতরে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। এরপরও রোহিঙ্গা মুসলমানেরা প্রতিবেশী এই দেশে পালিয়ে আসতে চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ঘোষণা করেছে, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমান নিধানের জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পদ্ধতিগত প্রচারাভিযানের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এসকল নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। যেসকল রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের জন্য ৩ লাখ ইউরো অনুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।
ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সাহায্য বিভাগের প্রধান "রোমান ম্যাকচার" বলেছেন: অধিকাংশ রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে নিঃস্ব হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা বিবেচনা করে ইউরোপীয় কমিশন রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রাথমিক চাহিদা মেটানোর জন্য এই সাহায্য প্রদান করবে।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানেরা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। iqna