শাইখা রুহিয়া আরাফা মনসুর ১৯৩১ সালে মিশরের আল-দুখলিয়া প্রদেশের "মিত গামার" প্রদেশের "আতমিদেহ" গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবা তৎকালীন সময় একজন সৎ পুলিশ অফিসার ছিলেন এবং পরে তার বাবা পোস্টিং-এর কারণে সেদেশের আশ-শারকিয়া প্রদেশে বসবাস করতে শুরু করেন। রুহিয়ার বাবা তার সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সেরা হাফেজ শাইখ আব্দুল গনি জুমার কাছে নিয়ে যান। তখন শাইখ আব্দুল গনি জুমা কুরআন তিলাওয়াত করার অনুমতি পেয়েছিলেন।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত এবং হেফজ করার জন্য রুহিয়া সাত বছর বয়সে শিক্ষক শাইখ আব্দুল গনি জুমার কাছে যান এবং তখন তিনি কুরআনের এই শিক্ষকের সন্তানদের সাথে ওহীর বাণী শিখত শুরু করেন।
এই ব্যাপারে মিশরের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজা বলেন: আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমি শেখ আবদুল গনির কাছে গিয়ে পবিত্র কোরআন হেফজ করতে শুরু করি এবং মাত্র দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি দশ পন্থায় কুরআন তিলাওয়াতের শিক্ষা অর্জন করি। আর তার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমি আরও ৫ বছর কুরআন তিলাওয়াতের ক্লাসে যায়।
তিনি বলেন: শাইখ আবদুল গণি সর্বদা আমার সাথে তাঁর মেয়ের মতো আচরণ করতেন। তাঁর নিকট হতে কুরআন তিলাওয়াত শেখার পর আমি আমার ২০ বছর বয়সে নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসি এবং তখন থেকে আমি আমার আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে ৭০ বছর ধরে বসবাস করেছি।
হাফেজা রুহিয়া আরাফা মনসুর বলেন: আমার মাধ্যমে অনেক শিশু কুরআনের হাফেজ হয়েছেন এবং বিভিন্ন আরব দেশের শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমতিপত্র দিয়েছি।
এবছর শাইখা রুহিয়া ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। এতো বয়স হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াত তার দৃঢ় মুখস্থ রয়েছে। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত এবং হেফজ করার জন্য শৈশবে তার অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। iqna