বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কার্ডটি বায়োমেট্রিক তথ্য সংবলিত এবং এটি নকল বা জাল করা যায় না। ১২ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গাদের এই কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
এর ফলে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো কর্মসূচি প্রণয়ন এবং নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীসহ অন্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে সক্ষম হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে সাহায্য নিয়ে জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, এটি নিবন্ধন কার্যক্রমে একটি মাইলফলক। কার্ডে উল্লেখ রয়েছে, তাদের মূল দেশ মিয়ানমার। রোহিঙ্গারা দেশে ফিরতে চাইলে কার্ডটি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজারে বর্তমানের ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার এসেছে ২০১৭ সালের আগস্টের পর। ২০১৮ সালের জুনে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শুরু হয়। বর্তমানে সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে সবার নিবন্ধন শেষ করতে চায় ইউএনএইচসিআর। এ জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৫৫ জনের বেশি কর্মী। iqna