মরক্কোর ক্বারি "মোহাম্মদ কেস্তালি"র সূললিত কণ্ঠে সূরা হাজ্জের তিলাওয়াত
তেহরান (ইকনা): মরক্কোর তরুন ক্বারি “মোহাম্মদ কেস্তালি” জ্বিলহজ মাসে হজের মৌসুমে সূরা হাজ্জের ১ থেকে ৫ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেছেন।
মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত হল হজ পালন করা । সুরা আল হাজ্জ (আরবি: سورة الحج, "তীর্থযাত্রা, হজ্জ") কুরআনের ২২ নং সূরা। এই সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭৮ টি। সুরাটি মূলত হাজ্জ্ব এবং হাজ্জ্ব সংক্রান্ত দিকটি বেশী উম্মচিত হয়েছে।
«يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ»
হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালকের (শাস্তি) থেকে নিজেদের রক্ষা কর, নির্ধারিত সময়ের (কিয়ামতের) ভূমিকম্প এক গুরুতর বিষয়।
يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ﴿۲﴾
যেদিন তোমরা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী তার দুগ্ধপোষ্যকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে, আর লোকদের নেশাগ্রস্ত মনে হবে, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়; বরং আল্লাহর শাস্তি অতি কঠোর।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ ﴿۳﴾
এবং কিছু সংখ্যক মানুষ এমনও আছে যারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহর ব্যাপারে বিবাদে লিপ্ত হয় এবং প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের অনুগামী হয়ে থাকে।
كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَنْ تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ ﴿۴﴾
তার জন্য নির্ধারিত হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথে বন্ধুত্ব করবে, নিশ্চয় সে তাকে পথভ্রষ্ট করবে এবং তাকে প্রজ্বলিত আগুনের (জাহান্নামের) দিকে পথনির্দেশ করবে।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِنْ مُضْغَةٍ مُخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاءُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّى وَمِنْكُمْ مَنْ يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنْ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنْبَتَتْ مِنْ كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ ﴿۵﴾
হে মানবজাতি! যদি তোমরা পুনরুত্থান সম্বন্ধে সংশয়ী হও, তবে (অনুধাবন কর) আমরা তোমাদের (প্রথমে) মাটি হতে সৃষ্টি করেছি, পরে শুক্র হতে, তারপর ঘনীভূত রক্ত হতে, অতঃপর পূর্ণাকৃতি প্রাপ্ত এবং অপূর্ণাকৃতি মাংসপি- হতে; যাতে তোমাদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিই (যে, আমরা তোমাদের পুনরুত্থিত করতে সক্ষম)। এবং যাকে আমরা ইচ্ছা করি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রেখে দিই, অতঃপর আমরা তোমাদের শিশুরূপে বের করি; পরে (তোমাদের জীবিত রাখি) যাতে তোমরা পরিণত বয়সে উপনীত হও। এবং তোমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ (মৃত্যুদান) করা হয় এবং কিছু সংখ্যককে জরাগ্রস্ত বার্ধক্যে উপনীত হয়; যাতে তারা জ্ঞান লাভের পর সম্পূর্ণ জ্ঞানহীন হয়ে যায়। এবং তুমি ভূমিকে মৃতবৎ দেখে থাক, অতঃপর যখন আমরা তার ওপর বারি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও বর্ধিত হতে থাকে এবং সর্ব প্রকারের দৃষ্টিনন্দন (উদ্ভিদ) উদ্গত করে।
তার এই মনোমুগ্ধকর তিলাওয়াতটি বার্তা সংস্থা ইকনা’র দর্শনার্থীদের জন্য প্রকাশ করা হল: