হানাদি হলেন জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের রোল মডেল। কয়েক সপ্তাহ আগেও ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন এই অসমসাহসী ফিলিস্তিনি নারী।
দখলদার ইসরায়েলের হাত থেকে পবিত্র আল-আকসাকে রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনি নারীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মুরাবিতাত’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ইসরাইলি পুলিশের তালিকায় সবচেয়ে ভয়ংকর ফিলিস্তিনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হানাদিকে।
জানা গেছে, বারবার গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেও বর্বর ইসরায়েলিরা তাকে দমাতে পারেনি। প্রতিবারই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আল-আকসার জন্য আবারও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
তার এমন আন্দোলনের কারণে জেরুজালেমের আল-আকসায় নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল সরকার। আটকের পর মুরাবিতাতের সদস্যদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এরপরও হানাদি হালাওয়ানি ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সবার নৈতিক ও আইনি সমর্থন চান। ইসলামী বিশ্বসহ মানবাধিকার সংগঠনের চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ইসরায়েলিরা। আর বের হয়েই ইসলামের স্বার্থে আন্দোলন শুরু করেন হানাদি। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর