IQNA

আহলে বাইতের জ্ঞান ভাণ্ডারের প্রতীক তিনি

17:21 - August 21, 2018
সংবাদ: 2606523
ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.) রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইত (আ.) এবং ইমামতিধারার ৫ম ইমাম। তিনি ৪র্থ ইমাম জয়নুল আবিদিনের (আ.) সন্তান।



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদ হযরত আয়াতুল্লাহ ইউসুফী গারাভী বলেছেন যে, নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী ইমামতিধারার ৫ম ইমাম তথা ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.) ৫৭ হিজরীর পহেলা রজব মদীনাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মহিমান্বিত জন্মলাভের পর তার পিতা ৪র্থ ইমাম জয়নুল আবিদিন (আ.) তাকে নিয়ে সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) নিকট নিয়ে যান, তিনি ইসলামী আদব অনুযায়ী নবজাতক শিশুর ডান কানে আযান এবং বাম কানে আকামত পাঠ করে শোনান। এবং নিজ পিতামহ রাসূলুল্লাহর (সা.) পবিত্র নামানুসারে এ নবজাতকের নাম রাখেন 'মুহাম্মাদ'।

তিনি বলেন: রাসূল (সা.) একটি হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, যদি কারও পুত্র সন্তান হয়, তবে সে যেন উক্ত নবজাতকের নাম আমার (মুহাম্মাদ) নামানুসারে নামকরণ করে। হয়তো ইমাম হুসাইন (আ.) রাসূলের (সা.) এ আদেশানুযায়ী নবজাতকের নাম রাখেন 'মুহাম্মাদ'।

তিনি বলেন: ইমাম মুহাম্মাদ বাকেরের (আ.) উমাইয়া ও আব্বাসী রাজবংশ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইমাম (আ.) মুসলমানদের মাঝে ইসলামের জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তারে মশগুল হয়ে পড়েন। যেহেতু তার পূর্বগামী ইমামগণ (আ.) বনি উমাইয়াদের চাপ ও নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে অফুরন্ত জ্ঞানের অধিকারী হওয়া স্বত্বেও তা বিস্তারে সক্ষম হন নি। কিন্তু ইমাম বাকের (আ.) তার যুগের উপযোগী পরিবেশের সুযোগে ইসলামের জ্ঞান ভাণ্ডারকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এ কারণে তাকে আহলে বাইতের জ্ঞান ভাণ্ডারের প্রতীক বলা হয়। শাবিস্তান

captcha