IQNA

যে ইমামের (আ.) প্রতি রাসূল (সা.) সালাম জানিয়েছিলেন

23:51 - August 20, 2018
সংবাদ: 2606514
প্রসিদ্ধ জলীলুল কদর সাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আনসারী ( রা. ) বলেন: একদিন মহানবী (সা.) আমাকে বললেন, আমার পরে আমার আহলুল বাইতের অন্তর্ভুক্ত এক ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে যাঁর নাম হবে আমার নাম (মুহাম্মাদ ) এবং চেহারা হবে আমার চেহারার অনুরূপ। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার উন্মুক্তকারী হবেন। তোমার সাথে যখন তার সাক্ষাত হবে আমার সালাম তাকে পৌঁছে দিও।


বার্তা সংস্থা ইকনা: মহানবীর (সা.)পবিত্র আহলুল বাইতের (আ.) পঞ্চম ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনিল হুসাইন ইবনে আলী আল-বাকিরের (আ.) শাহাদত দিবস হচ্ছে ১১৪ হিজরীর ৭ জিলহজ্জ্ব। ইমাম বাকির (আ) হিজরী ৫৭ সালে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চতুর্থ ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদিনের (আ.) পুত্র এবং সাইয়েদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) পৌত্র।

তাঁর কুনিয়া আবূ জাফার এবং উপাধি (লকব) আল-বাকির বা বাকিরুল উলূম (باقر و باقر العلوم) যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যবচ্ছেদকারী (জ্ঞান সংক্রান্ত সমস্যাবলীর সমাধানকারী এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিশ্লেষণকারী ও বিস্তৃতি দানকারী) বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার উন্মুক্তকারী। আর এই উপাধি দিয়েছেন স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)।

প্রসিদ্ধ জলীলুল কদর সাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আনসারী ( রা. ) বলেন: একদিন মহানবী (সা.) আমাকে বললেন, আমার পরে আমার আহলুল বাইতের অন্তর্ভুক্ত এক ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে যাঁর নাম হবে আমার নাম ( অর্থাৎ মুহাম্মাদ ) এবং চেহারা হবে আমার চেহারার অনুরূপ। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার উন্মুক্তকারী হবেন। তোমার সাথে যখন তার সাক্ষাত হবে আমার সালাম তাকে পৌছে দিও।

মহানবী ( সা. ) যখন এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন তখনও ইমাম বাকির (আ.) ভূমিষ্ঠ হননি।

এ ঘটনার পর বহু বছর অতিক্রান্ত হলে একদিন মদিনা নগরীর রাস্তা অতিক্রম কালে হযরত জাবিরের (রা.) দৃষ্টি এক ব্যক্তির (ইমাম বাকিরের (আ.) উপর নিবদ্ধ হয়। যখন তিনি সূক্ষ্মভাবে তাকালেন তখন তিনি দেখতে পেলেন যে মহানবী (সা. ) ইমাম বাকিরের চেহারা সংক্রান্ত যে বিবরণ দিয়েছিলেন তা হুবহু এই ব্যক্তির চেহারার সাথে মিলে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনার নাম কি? তিনি বললেন: আমার নাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনুল হুসাইন।

হযরত জাবির (রা.) তাঁর কপাল চুম্বন করে বললেন: আপনার বড় নানা বা দাদার নানা রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার মাধ্যমে আপনাকে সালাম দিয়েছেন।

হযরত জাবির (রা.) ঐ দিন থেকে মহানবীর (সা.) সম্মানার্থে এবং এই ইমামের বিরাট মর্যাদার নিদর্শনস্বরূপ প্রত্যহ দুই বার ইমাম বাকিরের (আ.) সাথে দেখা করতেন। তিনি (জাবির) মসজিদ-ই নববীতে উপস্থিত বিশাল জনতার মাঝে বসে মহানবীর (সা.) (ইমাম বাকির (আ.) সংক্রান্ত) ভবিষ্যদ্বাণীটি বর্ণনা করতেন (দ্র: আল্লামাহ মাজলিসী প্রণীত বিহারুল আনওয়ার , খ: ৪৬, পৃ: ২২৬, ২য় সংস্করণ)।

captcha